যুবকের স্বীকারোক্তিতে অধ্যক্ষ ফেন্সি হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য

চাঁদপুরে আলোচিত অধ্যক্ষ ও কেন্দ্রীয় মহিলা লীগ নেত্রী শাহীন সুলতানা ফেন্সি হত্যাকাণ্ডের ২২ দিন পর বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এ মামলার প্রধান আসামি অ্যাডভোকেট জহির খুনের কথা স্বীকার না করলেও পরিকল্পিত এ হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া মেডিকেল ছাত্র রাকিবুল হাসান ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এই যুবক অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী জুলেখা বেগমের চাচাতো ভাই।

মঙ্গলবার চাঁদপুরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এক বিচারকের উপস্থিতিতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র রাকিবুল হাসান এ জবানবন্দি দিয়েছেন বলে আদালত ও পুলিশের নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানা গেছে।

জবানবন্দিতে সে বলেছে, হত্যাকাণ্ডে সে ছাড়াও আরও এক যুবক সরাসরি জড়িত। ওই যুবকও জুলেখার আরেক চাচাতো ভাই। ফেন্সিকে হত্যার পরপরই রাকিব ও তার অন্য সহযোগী ওই রাতেই লঞ্চে ঢাকায় ফিরে যান। ফিরে যাওয়ার সময় ফেন্সিকে হত্যার কাজে ব্যবহূত জিনিসগুলো মেঘনা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।

পুলিশের ওই সূত্র জানায়, এই দুই আসামি মামলার এজহারভুক্ত না হলেও প্রধান আসামি ফেন্সির স্বামী অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম, তার দ্বিতীয় স্ত্রী জুলেখা ও জহিরের ভাইবোনকে আটকের পর রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে হত্যাকাণ্ডে জড়িত আরও কয়েকজনের নাম। তাদেরই একজন মেডিকেল ছাত্র রাকিবুল হাসান।

রাকিব জবানবন্দিতে জানিয়েছে, তারা টাকার বিনিময়ে ভাড়াটে হিসেবে এ হত্যাকাণ্ডে জড়ায়। হত্যাকাণ্ডের সময় রাকিব ফেন্সির পা দুটি জাপটে ধরে আর অন্যরা মাথায় আঘাত করে।

প্রসঙ্গত, গত ৪ জুন রাতে জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার গল্লাক ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শাহীন সুলতানা ফেন্সির (৫০) রক্তাক্ত মৃতদেহ চাঁদপুর শহরের পাকা মসজিদ এলাকায় তার নিজ বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়।

এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তার স্বামী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম এবং তার দ্বিতীয় স্ত্রী জুলেখাকে আটক করা হয়। পরদিন চারজনের নাম উল্লেখ করে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন ফেন্সির ভাই ফোরকান উদ্দিন খান।

পরে তাদের ওই মামলার আসামি হিসেবে গ্রেফতার দিয়ে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ডের জন্য জহিরকে সরাসরি দায়ী করে তার দুই মেয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তার বাবার বিচার দাবি করেন।